
কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের তিন বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল মোট ৭৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের একগুচ্ছ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর ফলে নাশকতা প্রতিরোধ, মোবাইল্যাটির বৃদ্ধি ও লজ্জায়নয় প্রযুক্তি আদানপ্রদানে তিন বাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে।
ভারতের তিন বাহিনীর জন্য বড় উপহার কেন্দ্রের তরফে
ভারতের স্থলবাহিনীর জন্য তিনটি মূল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথমত, টাইগার/ট্যাংক ও কনক্রিট বাঙ্কার ধ্বংসে সক্ষম NAG Missile System (NAMIS Mk-II Tracked) পেতে চলেছে সেনা; এটি ট্র্যাকটেড লঞ্চারভিত্তিক হওয়ায় সহজে মোবাইল অপারেশনে ব্যবহার করা যাবে। দ্বিতীয়ত, GBMES (Ground-Based Mobile ELINT System) সেনা ব্যবহার করবে—রাডার ও ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল শনাক্ত ও ট্র্যাক করে শত্রুপক্ষের ইলেকট্রনিক ইমিটার চিহ্নিত করার কাজে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তৃতীয়ত, কড়া টপ-লজিস্টিক ও দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে High Mobility Vehicles (HMVs) নেওয়া হচ্ছে, যা ভারী সরঞ্জাম পরিবহন ও মাঠে দ্রুত স্যুপোর্টে কাজে লাগবে। এসবের মাধ্যমে ভূ-সামর্থ্য, যুদ্ধজমিনে চালকত্ব ও ফায়ারপাওয়ার ব্যবস্থায় উন্নতি হবে।

পাশাপাশি ভারতের নৌবাহিনীর জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ন সিস্টেম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো Landing Platform Dock (LPD)—একধরণের বহুমুখী অ্যামফিবিয়াস ক্যারিয়ার, যা নৌসেনা ও বায়ুসেনার যৌথ অপারেশন, হিউম্যানিটেরিয়ান সহায়তা ও বিচ্ছিন্নণ্য সামরিক মোবাইলিটি বাড়াতে কাজে লাগবে। দ্বিতীয়ত, 30mm Naval Surface Gun সাধারণ ও ছোট নৌযুদ্ধ, অ্যান্টি-পাইরেসি ও কোটিপক্ষীয় হুমকিতে কার্যকর ভূমিকা নেবে। তৃতীয়ত, DRDO-নির্মিত Advanced Light Weight Torpedo কেনা হবে—এটি সাবমেরিন ও অ্যান্টি-সাবমেরিন অপারেশনে কার্যকর; কনভেনশানাল ও পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন উভয়কেই টার্গেট করার ক্ষমতা রাখে। সাথে করা হয়েছে EO-IR Search & Track System ও স্মার্ট অ্যামুনিশনের সংমিশ্রণ, যা লক্ষ্য সনাক্ত ও ট্র্যাক করে দীর্ঘশ্রেণির সঠিক আঘাত নিশ্চিত করবে।
অন্যদিকে ভারতের বায়ুসেনার জন্য DAC একক উন্নত ব্যবস্থা—Collaborative Long Range Target Saturation/Destruction System—অনুমোদন করেছে। এই সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহু লক্ষ্যকে শনাক্ত, লক ও সমন্বিতভাবে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে; অর্থাৎ দূর সীমার লক্ষ্যসিচুয়েশনগুলোতে দ্রুত ও যৌথভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হবে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে তিন বাহিনীর মোবাইল অপারেশন, লক্ষ্যনির্ধারণ ও যৌথ কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় উৎপাদন ও ডিআরডিও-সহ দেশি ইন্ডাস্ট্রির অংশগ্রহণও বাড়ানো হবে—যা প্রত্যাশা, দীর্ঘমেয়াদে আত্মনির্ভরতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও মজবুত করবে।
source – banglahunt.com
