Rakhi purnima 2023 date: এবার রাখি বন্ধনের তারিখ নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ৩০ তারিখে ভদ্রা কালের কারণে, ৩০ না ৩১ আগস্ট কবে রাখি বন্ধন পালিত হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ, ভদ্রার সময়কাল ৩০ তারিখ রাত ৯ টা অবধি থাকবে। আসুন জেনে নিই রাখি বাধার শুভ সময়।

1/5ভাইয়ের রাশির অধিপতি মঙ্গল হলে লাল রঙের রাখী বাঁধুন।

2/5পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ৩০ আগস্ট। পূর্ণিমায় পালিত হবে রক্ষা বন্ধনের উৎসব। পূর্ণিমা তিথি ৩০ আগস্ট সকাল ১০ টা ২৭ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট সকাল ৭ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। তবে, ৩০ আগস্ট ভদ্রা কাল রাত ৯টায় শেষ হবে। ভদ্রা কাল সময়ে রাখি বাঁধা শুভ বলে মনে করা হয় না। তবে ভদ্রা পুচ্ছে রাখি বাঁধতে পারেন। তাই ৩০ আগস্ট সন্ধ্যা ০৫ টা ৩১ মিনিট থেকে ০৬ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত রাখি বাঁধা যেতে পারে। এরপর রাত ৯টা থেকে ৩১ তারিখ সকাল ৭টা পর্যন্ত রাখি বাঁধতে পারবেন।

3/5জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে ভদ্রা কাল সময়ে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। কারণ, ভদ্রাকে জ্যোতিষশাস্ত্রে অশুভ ধরা হয়। অর্থাৎ যখনই ভদ্রা থাকবে তখনই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভদ্রা হল শনির বোন এবং তার স্বভাব খুবই নিষ্ঠুর। ভদ্রা ছায়া ও সূর্যদেবের কন্যা। রূপ দেখে সূর্যদেব তার বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তিত থাকতেন। ভদ্রা কোনও শুভ কাজ হতে দেন না। কোনও যজ্ঞও নয়। এমতাবস্থায় সূর্যদেব ব্রহ্মার কাছে গেলেন এবং তাঁকে পথ দেখাতে বললেন। তখন ব্রহ্মা ভদ্রাকে বললেন, তোমার সময়ে কেউ কোনও শুভ কাজ করলে তুমি তাতে বাধা দিতে পার, কিন্তু যখন কেউ তোমাকে সম্মান করে এবং তোমার সময়ের পরে কোনও শুভ কাজ করবে, তুমি তাতে কোনও প্রকার বাধা দেবে না।

4/5রাখি বন্ধন এর সুতোকে রক্ষা সূত্র বলা হয় যা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে। তার মধ্যে একটি হল রাজা বালি যখন দেবতাদের আক্রমণ করেন, তখন দেবরাজ ইন্দ্রের স্ত্রী শচী খুব ভয় পান এবং দুঃশ্চিন্তায় পড়ে তিনি সাহায্য চাইতে ভগবান বিষ্ণুর কাছে যান। ভগবান বিষ্ণু শচীকে একটি রক্ষা সূত্র দেন এবং তাকে তার স্বামীর কব্জিতে বেঁধে রাখতে বলেছিলেন যা তার স্বামীকে জয় এনে দেবে। সতী ভগবান বিষ্ণুর কথা মতোই রক্ষা সূত্র বেধেছিলেন এবং এরপর দেবতারা যুদ্ধে জয়ী হন। ভবিষ্য পুরাণেও এই কাহিনির উল্লেখ আছে।

5/5রাখি বন্ধন সংক্রান্ত আরেকটি কিংবদন্তি কাহিনি হল মহাভারতের সময় দ্রৌপদী ভগবান কৃষ্ণকে রাখি বেঁধেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, শিশুপালের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তর্জনী কেটে গেলে, দ্রৌপদী তার শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে আঙুলে বেঁধেছিলেন কৃষ্ণের। এর পর কৃষ্ণ তাকে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণ ভরা সভায় দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণকালে দ্রৌপদীকে রক্ষা করেছিলেন।

home3